প্লান্ট টনিক: ফসলের বৃদ্ধি এবং ফলন বৃদ্ধির সর্বোত্তম সমাধান
ফসলের স্বাস্থ্য এবং ফলন বাড়ানোর জন্য প্লান্ট টনিক একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং নিরাপদ পণ্য। এটি ফসলের শিকড় ও পাতার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফুল ও ফল ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করে। প্লান্ট টনিক ফসল ও পরিবেশের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ, এবং এটি ছত্রাকনাশক, কীটনাশক ও মাকড়নাশকের সাথে সহজেই মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
ফসলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে: 4-Chlorophenoxy Acetic Acid (4CPA) এর মাধ্যমে গাছের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও ত্বরান্বিত করে।
ফলন বৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যবহারে ফসলের ফলন ১০-৩০% পর্যন্ত বাড়ে।
ফল ঝরে পড়া রোধ করে: ফলের ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফল ঝরে পড়া রোধ করে।
সব ধরনের ফসলে কার্যকরী: ধান, গম, ভুট্টা, পাট, সরিষা, ডাল, শাকসবজি, ফলজাতীয় গাছসহ সকল প্রকার ফসলে ব্যবহারযোগ্য।
নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব: ফসল ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদার্থ নেই।
ব্যবহার পদ্ধতি:
ব্যবহারের আগে বোতল ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন।
প্রতি লিটার পানিতে ফসল অনুযায়ী ২-৪ মিলি প্লান্ট টনিক মিশান।
বীজতলায় চারাগাছ, ফসলের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিকবার স্প্রে করুন।
গাছের পাতা, বর্ধনশীল বাকল এবং অন্যান্য অংশে স্প্রে করুন।
ব্যবহারের সময়সূচি:
একবারে সংগ্রহ করা যায় এমন ফসল: ৩-৫ বার স্প্রে করুন।
ধাপে ধাপে সংগ্রহ করা যায় এমন ফসল: ফুল আসার পর থেকে ফসল শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৭-১০ দিন পর পর স্প্রে করুন।
ফলজাতীয় গাছ: মুকুল আসার পূর্বে, গুটি বাধার পর এবং ফল পাকার পূর্ব পর্যন্ত ১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
প্লান্ট টনিক ব্যবহারের সুবিধা:
ফসলের শিকড় ও পাতার কর্মদক্ষতা বাড়ায়।
ফসলকে সুষম পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।
ফুল ও ফল ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়।
ফল ও বীজের পুষ্টি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়।
ফলের ত্বকের গঠন ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
ফল ঝরে পড়া রোধ করে।
প্লান্ট টনিক ব্যবহার করুন এবং ফসলের স্বাস্থ্য ও ফলন বাড়ানোর জন্য একটি বিজ্ঞানসম্মত এবং কার্যকর সমাধান পান।